ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় আছে যেমন কিছু "legal" উপায় আছে তেমনই কিছু "illegal" উপায়ও আছে তবে আমরা চাইলে কিছু লিগ্যাল উপায় ব্যবহার করে খুব সহজে ঘরে বসে বেশ ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারি। 

জানতে চান কিভাবে ? অবশ্যই জানাবো, আজকে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব যে কিভাবে আপনারা ঘরে বসেই শুধুমাত্র মোবাইল অথবা সাথে থাকা ল্যাপটপ,‌‌ পিসি ব্যবহার করে  নিজের জন্য অথবা পরিবারের দায়িত্ব  নেওয়ার জন্য ঘরে বসে খুব সহজেই কিছু টাকা উপার্জন করতে পারেন।

পেজ সূচিপত্রঃ ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

অনলাইন স্কিল দিয়ে ইনকাম

যদি আপনার হাতে বেশ ভালো সময় থাকে এবং আপনি একটু মনোযোগ দিয়ে বেশ কিছু স্কিল শিখে ফেলতে পারেন তাহলে ঘরে বসে খুব সহজেই হাতে থাকা ফোন অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে অনেক ভালো পরিমাণটাকা ইনকাম করতে পারবেন। যা দরকার: মোবাইল/কম্পিউটার + ইন্টারনেট; শুধুমাত্র এই কয়েকটা জিনিস হলেই আপনি ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন তার জন্য আপনাকে আগে কিছু স্কিল শিখতে হবে ভাবছেন কোথায় শিখবেন?

আপনি চাইলে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে স্কিল গুলো শিখে ফেলতে পারেন বাংলাদেশে অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা স্টুডেন্টদের অথবা প্রাপ্তবয়স্কদের বিভিন্ন স্কিল শেখানোর মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠান চালাই আপনিও চাইলে তাদের থেকে ন্যূনতম কিছু এন্ট্রি ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন তাদের ক্লাসে এবং কিছু মাস ক্লাস করার পরে আপনি শিখে ফেলবেন বেশ কয়েকটা স্কিল যা ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে আপনার মোবাইল অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 
শুধু কি তাই আপনি চাইলে অনলাইনে আরো অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে ব্লগিং অথবা কনটেন্ট ক্রিয়েশন।

এই আধুনিক সময়ে মোবাইল নেই এবং ফেসবুক ইউজ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে সুতরাং এটি খুবই জনপ্রিয় একটি উপায় যা ব্যবহার করে আপনি এই আধুনিক যুগে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনার শুধু দরকার একটি মোবাইল ফোন জি শুধু একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আপনি ভিডিও এডিটিং শুরু করে ভিডিও রেকর্ডিং তুলে করতে পারবেন ভাবছেন কিভাবে ভিডিও এডিটিং করবেন ব্যাপার না আপনি চাইলে ইউটিউব দেখে বেশি ভিডিও এডিটিং শিখে নিতে পারবেন এবং ব্লগিং অথবা নেমে যেতে পারবেন ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই জনপ্রিয় একটি স্কিল যা ব্যবহার করে খুব সহজেই মাসে ১ থেকে ২ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে কোর্স করতে পারবেন। তারপর আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনার নির্দিষ্ট ক্লায়েন্টের কাছে আপনার দক্ষতা প্রকাশের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং করে আপনি প্রতি মাসে ১ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে তিন থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন বর্তমান মার্কেটে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ডিমান্ড অনেক বেশি তাই আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন এটির জন্য আপনার শুধুমাত্র একটি ভালো মানের পিসি অথবা ল্যাপটপ আর একটি স্ট্রং ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হবে। আর প্রয়োজন হবে আপনার দক্ষতার তার তারপরে আপনি শুরু করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং এবং এটির মাধ্যমে ঘরে বসে থেকে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইনকাম রেঞ্জ

ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব, বাকিটা নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা কিংবা আপনার স্কিল এর ওপর, আপনার দক্ষতা যত বেশি হবে আপনার ইনকাম করা সম্ভব।

আর্টিকেল লিখে Google AdSense থেকে ইনকাম

বর্তমানে "article writing" খুব জনপ্রিয় একটি কাজ যা বিভিন্ন মানুষের মানুষ জন করে থাকে করে তাদের হাত খরচ অথবা প্রয়োজনীয় টাকা ইনকাম করার জন্য। খুব সহজেই ঘরে বসে শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করে, এর জন্য তাদেরকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয়না। আপনার যদি নিজের কোন ব্লগ ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি সেখানেই নিজের আর্টিকেল অথবা ব্লগ লিখে পাবলিশ করলে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 


আপনার যদি কোন ব্লক ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে "article writing" এবং "blog" লেখার জন্য কিছু লোকজনকে কাজ করে এবং তাদের থেকে "blog" অথবা "article" লিখে নিয়ে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সেটা পাবলিশ করে থাকে। তারা "article writing" থেকে বেশ ভালো পরিমান ডলার ইনকাম করে এবং যারা তাদের আর্টিকেল অথবা ব্লগ লিখে দেয় তাদেরকে একটা মাসিক বেতন  দিয়ে থাকে।

ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য এটি খুবই ভালো একটি উপায় হতে পারে যদি আপনি একটু সময় দেন এবং লেখালেখি করতে ভালোবাসেন তাহলে এটি হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ উপায় যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি গল্প লিখতে ভালো লাগে অথবা বিভিন্ন সংবাদ পড়তে ভালো লাগে তাহলে আপনি ওই বিষয়ে একটি ব্লকিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন এবং সেখানে আপনার মন মতো ব্লক কনটেন্ট আপলোড করতে পারেন যদি আপনি গল্প লিখতে পছন্দ করেন তাহলে গল্প লিখে সেখানে আপলোড করে দিতে পারেন সেখানে যত মানুষ গল্পটি পড়বে তারা সবাই গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে এড দেখতে পারবেন যার থেকে আপনার ইনকাম হবে।

চাইলে আপনি একটি নিউজ এর ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং সেখানে প্রতিনিয়ত আশেপাশের নিউজ আপলোড করতে পারেন, দেশি-বিদেশি সব রকমের মানুষজন যখন আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে  নিউজগুলো পড়বে তখন এডসেন্সের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন যতবেশি মানুষ আপনার নিউজ পড়বে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে আপনার ইনকামও তত বেশি হবে। আপনি চাইলে বিভিন্ন রকম টিউটোরিয়াল এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিভিন্ন রকম ব্লগ লিখে সেটা ব্লগিং ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন, মানুষজন যেমন আপনার বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে উপকৃত হবে এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।

তেমনি তাদের ওয়েবসাইট ভিজিটের মাধ্যমে আপনিও ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই আধুনিক সময়ে এর থেকে ভালো আর কোন সহজ উপায় আছে বলে মনে হয় না যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করে তাদের জন্য। অবশ্য তাদের জন্য এই কাজটি অনেক সহজ মনে হবে।

ইনকাম রেঞ্জ

শুধুমাত্র আর্টিকেল লিখে আপনি ঘরে বসে থেকে প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেন তাহলে এর সংখ্যা কিছুটা কমে আসবে তাও আপনি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ইনকাম

এমন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং তাদের এক রয়েছে যারা তাদের সার্ভে করার মাধ্যমে গ্রাহকদের একটু পরিমাণ অর্থ প্রদান করে যেটি খুবই সামান্য তবে ফ্রিতে পাওয়া যায়। শুধু তাদের অ্যাপ এ বিভিন্ন বিষয়ে সার্ভে করতে হয় এগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে Google Opinion Rewards যেখানে আপনি সার্ভে করে টাকা ইনকাম পারবেন সহজেই। 


তাছাড়াও আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এরকম সুযোগ দিয়ে থাকেন আপনি চাইলে সেগুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন উল্লেখযোগ্য Poll Pay, Swagbucks, TimeBucks, Current App এগুলো তো কাজ করলে তারা কিছু পয়েন্ট দেয় যেগুলো পড়ে এই বাল অথবা বিকাশে উইথড্র করা যায়। তবে এমন অনেক ওয়েবসাইট অথবা এক রয়েছে যারা সাধারণত গ্রাহকদের সাথে স্ক্যান করে তাই এসব ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ এ কাজ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনি স্ক্যামের শিকার না হন অবশ্যই কাজ করার আগে অ্যাপ সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। তাহলে এটি হতে পারে আপনার ঘরে বসেই ইনকাম করার প্রিয় একটি জায়গা যেখানে আপনি খুব অল্প সময়ে কাজ করে বেশ কিছু টাকা উপার্জন করতে পারবে।

যদি আপনি কোডিং জেনে থাকেন তাহলে আপনি নিজের একটি অ্যাপ বানিয়ে সেটাতে অ্যাড দান করে ইনকাম করতে পারবেন আপনি বিভিন্ন রকমের অ্যাপ বানাতে পারেন যাতে মানুষ আপনার অ্যাপটি ব্যবহার করে এবং ব্যবহারকারীর সময় তারা এক দেখতে পায় এবং সেই এক থেকে আপনি ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অথবা আপনি যদি অ্যাপ বানাতে না পারেন, না জানেন, তাহলে আপনি কোন একজন ইঞ্জিনিয়ার এর কাছ থেকে একটি অ্যাপ বানিয়ে তারপরে আপনার নিজের অনুযায়ী সেটাকে পরিচালনা করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইনকাম রেঞ্জ

সময় দিয়ে কাজ করলে আপনি মাসে খুব একটা বেশি না হলেও সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারব। বিভিন্ন অ্যাপের ইনকাম আলাদা আলাদা হয়ে থাকে যে পুরোপুরি নির্ভর করে আপনি কোন অ্যাপ এ কাজ করতেছেন তার উপরে।

Online এ গেম খেলে ইনকাম 

গেম খেলে ইনকাম? সেটা আবার কিভাবে সম্ভব! এটাই ভাবছেন তো। সমস্যা নেই বুঝিয়ে দিচ্ছি। আপনি জানলে হয়তোবা অবাক হবেন বর্তমান দুনিয়ায় যারা সরকারি চাকরি করে তাদের তুলনায় দ্বিগুণ ইনকাম করতেছে যারা অনলাইনে গেম খেলে তারা। কি শুনতে পারো অবাক লাগছে ? অবাক লাগারি কথা কারণ আমাদের দেশে সাধারণত এগুলো খুব বেশি পরিচিত নয়, তবে 2025 সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে গেম খেলার জন্য অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশের একটি দল Team ( Redhaws )

যারা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সৌদি আরবে নিজের দেশকে "Represent" করে প্রথম বাংলাদেশী team team হিসেবে।‌ তারা মূলত একটি অনলাইন গেম "ফ্রি ফায়ার" থেকে কোয়ালিফাই করে বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে যাই যেটার প্রাইস পুল ছিল ($71.5M dollars)। শুধু ফ্রি ফায়ার নয় এমন আরো অনেক গেম আছে সেগুলো খেলে আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন মোবাইলে বিভিন্ন গেম এর টুর্নামেন্ট খেলে ম্যাচের টাকা ইনকাম করি এগুলোকে বলা হয় esports অথবা "ইলেকট্রনিক্স স্পোর্টস"।
বাংলাদেশের সাধারণত এগুলোর প্রচলন খুবই কম ছিল 2025 এর আগে পর্যন্ত কিন্তু বর্তমানে এটি দিন দিন বাড়তেছে এবং আগামীতে আরো অনেক বেশি হবে। আপনি চাইলে এখন থেকেই এটি শুরু করতে পারেন যা পরবর্তীতে হয়ে উঠতে পারে আপনার টাকা ইনকাম করার একটি উল্লেখযোগ্য উপায় যা দিয়ে আপনি সরকারি চাকরিজীবী ওয়ালাদের থেকেও বেশি ইনকাম করতে পারবেন এর জন্য আপনার দরকার হবে শুধু একটি মোবাইল ফোন, একটি ভাল ইন্টারনেট কানেকশন আর বেশ কিছু সময়।

আর সম্পূর্ণ ডেডিকেশন যা ব্যবহার করে আপনি হয়ে যেতে পারেন একজন ইস্পোর্টস প্লেয়ার।  এর‌ মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু গেমগুলো হচ্ছে Free Fire, BGMI, PUBG, Ludo, Dota 2, CALL OF DUTY etc আপনি যদি কাঙ্খিত গেম গুলোতে বেশ দক্ষ হয়ে থাকেন অথবা প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে হয়ে ওঠেন, তাহলে আপনি টুর্নামেন্ট খেলার মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অথবা গ্রুপ আছে যারা বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করে থাকে।

এই সমস্ত গেমগুলি টুর্নামেন্ট বেশিরভাগই সম্পূর্ণ অনলাইনে পরিচালিত হয় আপনি চাইলে সেগুলোতে অংশগ্রহণ  করার মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমাণে  জেতার মাধ্যমে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো  হলো "liquid ESports" যারা প্রতিনিয়ত ফ্রি ফায়ারে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে থাকে, যা সাধারণত ৫০০০ থেকে ৫০,০০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে এমন আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিভিন্ন গেমের টুর্নামেন্ট আয়োজন করে যার মাধ্যমে অনেক প্লেয়ারস ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করেন চাইলে আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

বর্তমানে তরুণ সমাজের মধ্যে স্পোর্টস একটি জনপ্রিয় ওয়ার্ড এটির চাহিদা দন দিন বেড়েই চলেছে এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ইস্পোর্টস। আপনি চাইলে এটাকে আপনার প্রফেশনাল ক্যারিয়ার হিসেবেও বেছে নিতে পারেন যেহেতু আপনি একজন সরকারি চাকরিজীবীর তুলনায় অনেক বেশি ইনকাম করবেন। যদিও বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে মানুষজন সরকারি চাকরি পেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে কিন্তু দিন পাল্টাচ্ছে।

আস্তে আস্তে মানুষ বুঝতে পারবে শুধু সরকারি চাকরি নয় আরো অনেক কাজ আছে যেগুলোর মাধ্যমে সরকারি চাকরি থেকেও খুব বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব, যা অলরেডি টিম ( Red hawks ) প্রমাণ করে দেখিয়েছে শুধুমাত্র একটি টুর্নামেন্টের জয়ী হয়ে তারা রাতারাতি ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার পেয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবিয়াতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

ইনকাম রেঞ্জ

যদি আপনি একজন নতুন প্লেয়ার হন তাহলে আপনার সর্বনিম্ন ইনকাম হবে ১৫ টাকা ইনকাম করতে পারবেন থেকে ২০ হাজার টাকা আর আপনি যদি একজন প্রফেশনাল দক্ষ খেলোয়াড় হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মান্থলি ইনকাম হতে পারে ৪-৫ লক্ষ টাকা।‌ আপনি যদি কোন বড় টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন তাহলে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আপনার ইনকাম এসে দাঁড়াবে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায়।

রেফার & Earn প্রোগ্রাম

আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন এমন অনেক অ্যাপ আছে যারা শুধুমাত্র রেফার করার মাধ্যমে গ্রাহককে কিছু সংখ্যা টাকা প্রদান করে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অ্যাপ হলোঃ bKash, Nagad, Taptap Send, TakaPay ইত্যাদি  করলে ৫০–২০০ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে। এছাড়াও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা আইটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা এই প্রোগ্রামটি করে থাকে আপনি যদি তাদের প্রতিষ্ঠানের কোন স্টুডেন্টকে ভর্তি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে সেটি হবে আপনার জন্য একটি রেফার।

যার মাধ্যমে আপনি কিছু পরিমাণে টাকা পেয়ে যাবেন প্রতিমাসে আপনি যদি বেশ কিছু এমন স্টুডেন্ট জোগাড় করতে পারেন এবং তাদেরকে সেই আইডি প্রতিষ্ঠান অথবা কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনি বেশ ভালো করে মানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে সাবধান অনেকেই এখানে স্ক্যাম এর শিকার হয় আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি কোন গেমের শিকার হচ্ছেন কিনা এজন্য কোন ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ রেফার করার আগে সেটি খুব ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে তারপরে আপনার ইনফরমেশন প্রোফাইল করবেন এবং অন্যকে রেফার করবে নয়তো আপনি নিজেও গেমের শিকার হবেন এবং অন্য আরেকজনের জন্য ইসলামের শিকার হবে।

ইনকাম রেঞ্জ

মাসে সর্বনিম্ন ৫০০০ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন বাকিটা আপনার কাছের উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।

Print-on-Demand এ টি শার্ট তৈরি

এমন অনেক মানুষ আছে যারা নিজেদের টি-শার্টে নিজের নাম অথবা কিছু একটা লিখতে চাই অথবা কোন পছন্দের ডিজাইন টি-শার্ট এর উপরে প্রিন্ট করতে চাই, তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি গড়ে তুলতে পারেন একটি প্রতিষ্ঠান যা আপনার নিজের রুম থেকে পরিচালনা করতে পারবেন। যার জন্য আপনার দরকার পড়বে কিছু "Editing skills" এবং একটি "DTF printer" যা ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন রকম ডিজাইন প্রিন্ট করতে পারবেন,  এবং সাথে কিছু মার্কেটিং এর দক্ষতা।

ব্যাস সামান্য এইটুকু সামগ্রী ব্যবহার করে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করে ক্লায়েন্ট পেতে পারেন অথবা বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়ে দিতে পারেন যে আপনি কাজগুলো করে থাকেন যেটা সম্পর্কে মানুষ জেনে যাওয়ার পর আপনার কাছে  বিভিন্ন রকমের টি-শার্ট ডিজাইন করিয়ে নিবে। ভাবছেন প্রিন্ট করার জন্য টি শার্ট কিনতে তো আপনাকে বাইরে যেতে হবে ?

একদমই না, এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনলাইনে হোম ডেলিভারি করে থাকে আপনি তাদের কাছ থেকে পাইকারিতে টি শার্ট অর্ডার করতে পারবেন এবং পেয়ে যাবেন আপনার বাসায়।  তারপর ক্লায়েন্টের ডিমান্ড অনুযায়ী আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অথবা ক্লায়েন্টের প্রোভাইড করার ডিজাইনটি সরাসরি টিশার্টে প্রিন্ট করে ফেলতে পারবেন সহজে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত ভিডিও ইউটিউবে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। অথবা আপনি চাইলে এ বিষয়ে কোর্স করতে পারেন যা আপনাকে আরো দক্ষতা অর্জনের সাহায্য করবে।

আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার কাঙ্খিত ডিজাইন করা টি-শার্টগুলো শো করতে পারেন এবং এটিকে মার্কেটিং এর মাধ্যমে মানুষজনের সামনে উপস্থাপন করতে পারে যার মাধ্যমে আপনার সেলস আরো বেড়ে যাবে এবং আপনার টাকা ইনকাম করার যে প্রবণতা ছিল সেটি অনেকাংশেই পূরণ হয়ে যাবে।

ইনকাম রেঞ্জ

যদি আপনার মার্কেটিং স্কিল খুব ভালো হয়ে থাকে তাহলে মাসে সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা অথবা এরও বেশি ইনকাম করা সম্ভব।

Affiliate Marketing করে ইনকাম

আপনি হয়তো বা "Amazon" এর নাম শুনে থাকবেন যারা অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করার জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান আছে বাংলাদেশে যা বেশ জনপ্রিয়, এটি হচ্ছে দারাজ। আপনি চাইলে এটাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করে ফেলতে ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা। ভাবছেন কিভাবে করবেন ? খুবই সহজ, এবং শুধু দারাজ ই নয় এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম চালায় আপনি চাইলে তাদের প্রতিষ্ঠানে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও বেশ ভালো  টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে কিছু মার্কেটিং স্কিল এবং বেশ কিছু ধৈর্য।

আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন, বিস্তারিত জানার পরে আপনার কাজ হবে তাদের প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করে সেলস বাড়ানো প্রতিটা প্রোডাক্ট সেলস এর ওপরে আপনি বেশ ভালো একটি কমিশন পাবেন যেটি থেকে শুরু হবে আপনার ইনকাম।‌ আপনি যত বেশি সেলস করতে পারবেন আপনার কমিশন ততো বেশি হবে, এটির কোন নির্দিষ্ট লিমিট নেই এটি পুরোপুরি ডিপেন্ড করবে আপনার মার্কেটিং এবং সেল এর উপরে।

যদি আপনি মার্কেটিং এ আগ্রহী হয়ে থাকেন অথবা এটি শিখতে চান তাহলে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে মার্কেটিং শিখে তারপরে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন অথবা আপনার যদি আগে থেকেই এই বিষয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে একটি রিসেলিং এর ব্যবসা তৈরি করে ফেলতে পারেন। এবং কোন কোর্স করার এ ছাড়াই আপনি এটি শুরু করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে বেশ ভাল পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইনকাম রেঞ্জ

আপনার মার্কেটিং এর পদ্ধতি এবং কাস্টমার সাপোর্টের উপর নির্ভর করে আপনার মাসিক আয় সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

Digital Course বিক্রি করে ইনকাম

আপনি একটি স্টুডেন্ট অথবা গ্ৰেজুয়েট আপনি চাচ্ছেন ঘরে বসে বেশ কিছু টাকা উপার্জন করতে কিন্তু কিভাবে কিভাবে করবেন বুঝতে পারছেন না ? এমন অনেক মানুষ আছে যারা অনেক বিষয়ে দক্ষ না এবং কিভাবে কি করবে বুঝতে পারে না হয়তো সে একই বিষয়ে আপনি তার থেকে বেশি দক্ষ হতেও তো পারে তাই না ? যদি এমনটি হয় তাহলে শুরু করতে পারেন কোর্ট বিক্রি করার বিজনেস। হয়তো আপনি এমন কিছু জানেন যা অনেকেই জানে না এবং জানতে ইচ্ছুক সো এটা কি কাজে লাগিয়ে আপনি চাইলে কোর্স তৈরি করে সেটাকে মানুষের মধ্যে বিক্রি করতে পারেন অবশ্যই অনলাইনে মাধ্যমে।


বর্তমান সময়ে এটি জনপ্রিয় একটি উপায় বেশ ভালোটাকে ইনকাম করার জন্য যা অনেকেই করে থাকে, আপনি ইউটিউবে সার্চ করলেই অজস্র মানুষ পাওয়া যাবে যারা তাদের তৈরি একটি ফোর্স বিক্রি করতেছে যা অনেকেই কিন্তু সে তাদের‌ দক্ষতা বাড়ানোর জন্য।‌ বেঁচে থাকবেন তারা এমন কিছু  জানে যা সাধারন মানুষ জানে না এবং জানতে চাই যার কারণে তারা তাদের কোর্স গুলো কিনতেছে এবং শেখার চেষ্টা করতেছে। তারা তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে একটি পরিপূর্ণ কোর্স তৈরি করেছে এবং বিক্রি করতেছে। তাদের বেশ ভালো পরিমাণ ইনকাম হয়।

চাইলে কিন্তু আপনি এটি শুরু করতে পারেন, খুব একটা কঠিন হবে না মনে হয়,  তাই না? হ্যাঁ এটা খুবই সহজ একটি কাজ। শুধু আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয়ে সম্পর্কে একটি কোর্স তৈরি করুন এবং সেটিকে অনলাইনে প্রচার-প্রচারণা শুরু করুন যার মাধ্যমে আপনি অনেক গ্রাহকভাবে যারা আপনার  কোর্স টি কেনার জন্য জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে, এবং আপনি তাদের কাছে এটি বিক্রি করার মাধ্যমে শুরু করতে পারবেন ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার একটি উল্লেখযোগ্য উপায়।

ইনকাম রেঞ্জ

যদি আপনার কোর্সটি এমন হয় সেটির চাহিদা খুবই বেশি তাহলে আপনি সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকাও ইনকাম করতে পারবেন এটি পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার কোর্সের চাহিদা মার্কেটে কেমন তার ওপরে।

অনলাইন পণ্য বিক্রি

আজকাল ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করা যায় অথবা যদি নিজের পণ্য না থাকে তাহলে রিসেলি অথবা টপ শিপিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করা যায় ।

কীভাবে শুরু করবেন

প্রথমে একটি Facebook Page / Instagram Page তৈরি করুন তারপর Daraz, Ajkerdeal, বা স্থানীয় হোলসেল দোকান থেকে পণ্যের ছবি নিয়ে সেগুলোকে নিয়মিতভাবে পোস্ট করতে থাকুন। যদি আপনার পরিচিত কোন দোকান থাকে এবং বিশ্বস্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলে খুব সহজেই তাদের সাথে কথা বলে তাদের পণ্য রিসেলিং জন্য কাজ করতে পারবেন। 


আপনাকে শুধুমাত্র তাদের কাঙ্খিত পণ্যের ছবি সংগ্রহ করতে হবে এবং তার বিস্তারিত সম্পর্কে জানতে হবে, তারপর আপনি কাঙ্খিত পণ্যের বিস্তারিত এবং ছবি নিয়মিত পোস্ট করবেন এবং মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে যত বেশি সম্ভব মানুষজনের সামনে সেটিকে উপস্থাপন করবেন যার মাধ্যমে মানুষ আকৃষ্ট হয়ে আপনার পণ্যটি কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে আপনি বেশ ভালো পরিমান অর্ডার পেয়ে যাবেন এবং কেউ অর্ডার করলে পণ্য সরবরাহ করে দাম নিন, লাভ নিজের কাছে রাখুন।

চাইলে নিজের পণ্য (যেমন পোশাক, গিফট আইটেম, কসমেটিক্স, হ্যান্ডমেড জিনিস) বিক্রিও জিনিসগুলো বিক্রি করতে পারেন এগুলো বহুল প্রচলিত সামগ্রী যা প্রতিনিয়তই অনেক বেশি পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। বলে রাখা ভালো আপনার মার্কেটিং স্টিল যত ভালো হবে আপনার এই ব্যবসাটি ও তত বেশি তাড়াতাড়ি এগোবে আপনি খুব ভালো একটি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। আপনি চাইলে নিজে মার্কেটিং শিখে অথবা মার্কেটিং জানে এমন কাউকে জোগাড় করে তার মাধ্যমে আপনার অন্যের মার্কেটিং করতে পারবেন যার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা খুব তাড়াতাড়ি এগোবে।

আপনি চাইলে বিভিন্ন "painting" বিক্রি করতে পারেন, এমন অনেক সৌখিন মানুষ আছে যারা খুবই উচ্চতমে এগুলোকে কিনে নিজের বাসায় অথবা ড্রয়িং রুমে সাজিয়ে রাখে যাদের কাছে এটির মূল্য আছে তারা এটি খুবই বেশি দামে কিনতেও দ্বিধাবোধ করে না তাই আপনি চাইলে এটি শুরু করতে পারেন এটি খুবই লাভজনক একটি প্রোডাক্ট হবে আপনার ব্যবসার জন্য।

ইনকাম রেঞ্জ

প্রতিটা পণ্যের মাধ্যমে আপনি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন এবং আপনার প্রতিনিয়ত অর্ডার আসতে থাকলে আপনি মাসে ১০ হাজার থেকে 30 হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন টিউশন বা কোচিং করে ইনকাম

যদি আপনি পড়াশোনা ভালো হয়ে থাকেন তাহলে ঘরে বসেই খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে টিউশনি অথবা কোচিং করিয়ে বেশ ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কীভাবে শুরু করবেন 

আপনি চাইলে Facebook Page বা Group খুলে আপনি যে বিষয়ে টিউশনি অথবা কোচিং করাতে ইচ্ছুক ‌ সেই বিষয়ে ভিডিও বানাতে পারেন যার মাধ্যমে স্টুডেন্ট জানতে পারবে যে আপনি এই বিষয়গুলো নিয়ে কোচিং করন এবং তার যদি পছন্দ হয় তাহলে সে আপনার কাছে কোচিং করার জন্য ভর্তি হতে পারবে।এখন আপনি তো চাচ্ছেন কিভাবে ঘরে বসে থেকে করা যায়, সেটিও সম্ভব আপনি চাইলে খুব সহজেই Zoom / Google Meet-এর মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস নিতে পারবেন এর জন্য আপনাকে বাইরে কোথাও যেতে হবে না আপনি নিজের রুম থেকেই সকল স্টুডেন্ট এর ক্লাস নিতে পারবেন।

কিন্তু শুধু এটুকুই যথেষ্ট নয় আপনি চাইলে আরো অনেক বেশি স্টুডেন্ট কে একসঙ্গে পড়াতে পারেন তার আপনার BD Tutor, TeacherOn, Preply এর মতো সাইটে রেজিস্টার করে ছাত্র খুঁজতে হবে। যেহেতু আপনি স্টুডেন্টদেরকে পড়াচ্ছেন অনলাইনে তাই আপনার সকল ক্লাসগুলো চাইলে খুব সহজে আপনি একটি ফোন অথবা ক্যামেরা ব্যবহার করে রেকর্ড করতে পারবেন এবং সেই রেকর্ডেড ক্লাসগুলো চাইলে YouTube-এ শিক্ষামূলক ভিডিও আকারে পোস্ট করে  ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন কোন আলাদা পরিশ্রম ছাড়াই।

আপনি চাইলে নিজের একটি অ্যাপ বানিয়ে সেখানেও ক্লাস নিতে পারেন এবং রেকর্ডেড ক্লাস সেখানে রেখে কোড আকারে সেগুলো সেল করতে পারেন এতে আপনি একই পরিশ্রমের দ্বিগুণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন শুধুমাত্র একটি অ্যাপ তৈরি করে নেওয়ার মাধ্যমে এতে আপনার যেমন স্টুডেন্ট বাড়বে তেমনি ইনকাম ডবল হয়ে যাবে।

ইনকাম রেঞ্জ

আপনি প্রতি ছাত্র প্রতি মাসে ৩০০০–৫০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে, যদি একাধিক ছাত্র থাকে, তাহলে প্রতি মাসে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Contact us

Md. Abir Hossain
Shimul Obayed
I’m the creative force behind Infrnoz, fusing digital strategy with design fire to build visuals that command attention and drive impact.।