বাংলা আর্টিকেল লেখার ১২ টি নিয়ম
যারা নতুন আর্টিকেল লেখে তারা অনেকেই বুঝতে পারে না কিভাবে ওয়েবসাইটে প্রফেসনাল মানের একটি আর্টিকেল লিখবেন। অনেকেই বুঝতে পারে না নির্ভুল ও সহজ ভাবে আর্টিকেল লেখার যে কিছু কিছু নিয়ম আছে, তা কিন্তু অনেকেই জানে না । আপনারা এই পোষ্টের মধ্যে একটি আর্টিকেল লেখার কিছু বিশেষ নিয়ম এবং কিছু বিশেষ নির্দেশনা পেয়ে যাবেন যা ব্যবহার করে আপনি আপনার পরবর্তী আর্টিকেলটি লিখতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার ১২ টি নিয়ম
- নির্ভুল ভাবে আর্টিকেল লেখা
- সূচিপত্র এর ব্যবহার
- কিভাবে আর্টিকেলের টাইটেল লিখব
- প্যারাগ্রাফ শিরোনাম লেখার নিয়ম
- ফোকাস কিওয়ার্ডের ব্যবহার
- আমি, আপনি শব্দের ব্যবহার
- আর্টিকেল এর ডাউনলোড লিংক যুক্ত করা
- আর্টিকেল ফরমেটিং
- লাইন ঠিক রেখে কন্টেন্ট রাইটিং
- কনটেন্টে স্ক্রিনশট ব্যবহারের নিয়ম
- ইমেজ সোর্স লিংক করে ছবি যুক্ত করা
- ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স এর ব্যবহার
নির্ভুল ভাবে আর্টিকেল লেখা
কন্টেন লিখার জন্য শুদ্ধ বানান খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বানান শুদ্ধ থাকলে আর্টিকেল টি পড়েই পাঠক বুজতে পারবেন এটি কোন প্রফেশনাল মানের কনটেন্ট রাইটার লিখেছেন।তাই অবশ্যই বানান শুদ্ধ করে পোস্ট লিখতে হবে। বানান শুদ্ধ থাকলে পাঠক বুজতে পারেন এটি কোনো প্রফেসনাল রাইটার লিখেছেন।
যার ফলে পাঠকের পুরো পোস্ট টি পড়ে দেখার আগ্রহ বেড়ে যায় এবং এবং পাঠক যখন পুরো পোস্ট টি পড়বেন এতে করে তিনি দীর্ঘ সময় ওয়েবসাইট এ থাকবেন, পাঠক যখন দীর্ঘ সময় ওয়েবসাইট এ থাকে, তখন ঐ ওয়েবসাইট এর রিচ সক্রিয়ভাবে ও বেড়ে যায়। তাই অবশ্যই আর্টিকেল এ বানান শুদ্ধ ও নির্ভুল রাখতে হবে।
একটা ভালো আর্টিকেল রাইটার হতে গেলে আমাদের আগে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে অন্যদের আর্টিকেল গুলো খুব বেশি বেশি পড়তে হবে তাহলেই আমারও একজন ভালো মানের রাইটার হতে পারবো।
সূচিপত্র এর ব্যবহার
কোনো আর্টিকেল লিখার জন্য পোস্টের শুরুতেই পাঠককে বুঝিয়ে দিতে হবে পোস্টটি কি সম্পর্কে এবং পোষ্টটি পড়ে তারা কি শিখতে পারবে সেটা যদি তারা শুরুতেই বুজতে পারেন তাহলে তাদের মধ্যে পোষ্টটি পুরোটা পড়ার আগ্রহ বেড়ে যাবে, এবং রিচ সক্রিয়ভাবে ও বেড়ে যায়।
যদি কোন কনটেন্টের শুরুতেই তার একটি সূচিপত্র দেওয়া থাকে তাহলে পাঠক প্রথমে বুঝতে পারবে আর্টিকেলের ভিতরে উনি কি কি সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে তার বুজতে সুবিধা হবে তিনি যে বিষয় এ জানতে চাচ্ছেন সেটি এই পোস্টের ভিতরে আছে কিনা।
তার যদি কোন পয়েন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ লাগে তাহলে তিনি সহজেই সে পয়েন্টটি খুঁজে বের করে পড়ে নিতে পারবেন, তার জন্য তাকে পুরো আর্টিকেল টি পড়ে খুজতে হবেনা।
কিভাবে আর্টিকেলের টাইটেল লিখব
আর্টিকেল লিখার জন্য টাইটেল খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, একটি আর্টিকেল এর টাইটেল অথবা শিরোনাম সব সময় ৫ থেকে ৯ শব্দের মধ্যে হওয়া উচিত, এতে পাঠক সহজেই আর্টিকেলের বিষয় সম্পর্বে একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। যা তাদের বুঝতে সাহায্য করবে আর্টিকেলটি কি নিয়ে লেখা হয়েছে।
সাধারণত বেশিরভাগ পাঠকই পোষ্টের শিরোনাম দেখে পোস্টটিতে ক্লিক করে তাই অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে যাতে পোস্টটির শিরোনাম পড়েই বোঝা যায় পোস্টটিতে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাঠক যখন শিরোনাম দেখেই পোস্টটি সম্পর্কে বুঝতে পারবে তখন পাঠকের পুরো পোস্টটি পড়ার আগ্রহ বেড়ে যাবে।
তাই আমরা যখন বড় পোস্টের শিরোনাম লিখব সেটিকে এমন ভাবে লিখব যাতে পাঠক সহজে পড়ে বুঝতে পারেন
প্যারাগ্রাফ শিরোনাম লেখার নিয়ম
কোনো পোস্ট লিখার সময় সব লাইন এক সঙ্গে না লিখে আমরা প্রতিটি পোস্টকে ছোট ছোট প্যারা করে লিখতে পারি এতে করে পাঠকের পোস্টটি পড়তে এবং বুঝতে সুবিধা হবে। কোন পোস্ট লেখার সময় প্যারাগ্রাফ এর শিরোনাম গুলো সাবধানে ব্যবহার করে লিখব এতে পাঠক সহজেই বুঝতে পারবে কোন প্যারাতে কি সম্পর্কে লিখা আছে।
প্যারাগ্রাফ এর শিরোনাম গুলোতে সাবহেডিং ব্যবহার করতে হবে যদি পাঠক সহজেই বুঝতে পারে নিচের লাইনে কি সম্পর্কে লিখা আছে। আমাদের অবশ্যই প্রত্যেকটি প্যারাতে অন্তত পাঁচটি করে লাইন লিখতে হবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফোকাস কিওয়ার্ডের ব্যবহার
কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে ফোকাস কিবোর্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেকেই হয়তো জানেন না ফোকাস কেউ আর আসলে কি? ফোকাস কীওয়ার্ড হচ্ছে সেই কিওয়ার্ড গুলো যেগুলো মানুষ গুগলে প্রতিনিয়ত লিখে সার্চ করে এবং সেগুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সেগুলোই হচ্ছে ফোকাস কিওয়ার্ড।
এমন অনেক ফোকাস কিওয়ার্ড আছে যেগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি।কোন আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে এটি গুগল সার্চ রেজাল্টে সবার উপরে থাকে যার ফলে আর্টিকেল এর রিচ বেড়ে যায় এবং বেশি সংখ্যক মানুষ আর্টিকেলটি পড়ার সুযোগ পায়।
আমি, আপনি শব্দের ব্যবহার
কোনো আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই সেখানে আমি অথবা আপনি শব্দের ব্যবহার করবেন এতে করে তিনি মনে করবেন লেখক তার সঙ্গে গল্প করছেন, এতে তার পড়ার আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে। এতে করে তারা আর্টিকেলটি পড়তে অনেক মজা পাবে এবং যখন তাদের কোন বিষয়ে সম্পর্কে পড়তে আনন্দিত মনে হবে তারা সেই বিষয়টি পুরোটাই পড়ে ফেলবে।
এরকম কিছু ছোট ছোট টেকনিক ব্যবহার করলে খুব সহজে আমরা একটি আর্টিকেলকে গুগলে রঙ্ক করতে পারি। আর্টিক্যাল লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম যা সব লেখকের অনুসরণ করা উচিত, এটি ব্যবহারের মাধ্যমে তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত কনটেন্টের রিচ অনেকখানি বাড়িয়ে ফেলতে পারবে।
আর্টিকেল এর ডাউনলোড লিংক যুক্ত করা
আমরা যখন কোন জিনিস সম্পর্কে কোন আর্টিকেল লিখব, হতে পারে সেটি কোন প্রযুক্তি বিষয়ে আর্টিকেল, শেষের দিকে আমরা যদি আর্টিকেলটি ডাউনলোড করার জন্য একটি বাটন যুক্ত করে দেই তাহলে পাঠক সহজেই সে আর্টিকেলটি ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন এবং ইন্টারনেট ছাড়াও সেটিকে ব্যবহার করতে পারবেন।
আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অনেক সময় আমরা কিছু ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপসের কথা বলে থাকি এবং তাদের সম্পর্কে বর্ণনা করে থাকি পাঠকের যদি সেগুলোর প্রয়োজন হয় এবং ডাউনলোড করতে চান তাহলে তাদেরকে অন্য কোথাও গিয়ে সেগুলোর সার্চ করে খুজে খুঁজে বের করে ডাউনলোড করতে হবে এতে তাদের অনেক সময় অপচয় হবে।
এবং তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইট/অ্যাপস খুঁজে নাও পেতে পারেন অনেক সময় তারা থার্ড পার্টি কোন অ্যাপ ডাউনলোড করতে গিয়ে প্রতারণার স্বীকারও হতে পারেন, এটি এড়ানোর জন্য আমরা চাইলে আমাদের পোষ্টে যেখানে ওই অ্যাপস অথবা ওয়েবসাইট সম্পর্কে বর্ণনা করেছি তার নিচে ওই ওয়েবসাইটের কাঙ্ক্ষিত ভিজিট লিংক এবং ওই অ্যাপস এর কাঙ্কৃত ডাউনলোড লিংকটি এড করে দিতে পারি এতে পাঠক সহজেই সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।
আমার অবস্থায় তারা কোন প্রতারণার শিকার হবেন না এতে করে পাঠকের আমাদের প্রতি বিশ্বাসও বাড়বে।
আর্টিকেল ফরমেটিং
বাংলায় আর্টিকেল লেখার জন্য আগে লেখার ধরন জানতে হবে। একটি আর্টিকেল সময় সেটিকে গুছিয়ে লিখতে পারলে সেটি যেমন দেখতে সুন্দর লাগে পাঠকের ক্ষেত্রে পড়তেও সহজ হয় । এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব সময় মনে রাখতে হবে কনটেন্ট গুলো সুন্দর ভাবে ফরম্যাটিং করে লিখতে হবে, তাহলে সেটির পাঠক সংখ্যা বেড়ে যাবে।
আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম নিয়ম হচ্ছে এটি।আপনি যত সুন্দর ভাবে একটি আর্টিকেল ফরমেটিং করে লিখবেন মানুষ তত বেশি সেই আর্টিকেলটি পড়বে।
আরো পড়ুনঃ How Esports is changing the world of gaming
লাইন ঠিক রেখে কন্টেন্ট রাইটিং
বাংলা কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে একটা দুইটা প্যারালেখার পরে অনেকেই লাইন গ্যাপ করে, এটি করা যাবে না। তেমন অনেকেই আছে যারা কন্টেন্টের ভিতরে অনেকগুলো লাইন গ্যাপ করে এটাও করা যাবে না। বাংলা কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি সর্বোচ্চ একটি লাইন গ্যাপ দিতে পারবেন।
কনটেন্টে স্ক্রিনশট ব্যবহারের নিয়ম
একটি কনটেন্ট লেখার সময় অনেক জায়গায় কিছু জিনিস বোঝানোর ক্ষেত্রে আমরা পিকচার অথবা স্ক্রিনশট এর ব্যবহার করে থাকি, প্রফেশনাল ভাবে বাংলা কনটেন্ট লেখার জন্য স্ক্রিনশট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পিকচার অথবা স্ক্রিনশট ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে কোন পিকচার অথবা স্ক্রিনশট এ অতিরিক্ত অংশ যাতে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রফেশনাল ভাবে কোন বাংলা কনটেন্ট লেখার সময় সেই কনটেন্টে ছবির অথবা স্ক্রিনশটের অপ্রয়োজনীয় অংশ থাকলে সেটিকে কেটে ফেলতে হবে এতে করে কনটেন্টি আরো প্রফেশনাল মানের হয়ে যাবে।
ইমেজ সোর্স লিংক করে ছবি যুক্ত করা
কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে অনেক সময় আমাদের বিভিন্ন ইমেজ যুক্ত করতে হতে পারে তখন অনেকেই অনলাইন থেকে একটি ছবি ডাউনলোড করে আর্টিকেলের মধ্যে সেটাকে আপলোড করে থাকেন আবার অনেকে এমনও আছেন যারা ছবি ডাউনলোড না করে ছবির লিংক কপি করে সেটি পোস্টের মধ্যে ব্যবহার করেন, কিন্তু এটা করা মোটেও ঠিক না।
যদি কোনো কারণবশত আমাদের যুক্ত করা ছবিটি সেই ওয়েবসাইট থেকে রিমুভ অথবা অথবা ডিলিট হয়ে যাই যেই ওয়েবসাইট থেকে আমরা সেটির লিংক কপি করছিলাম, তখন কিন্তু সেটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকেও সেই সেই ইমেজটি ডিলিট হয়ে যাবে।
তাই ছবি আপলোড করার সময় অবশ্যই সেটির কপিরাইট ফ্রি ভার্সন টি ডাউনলোড করে তারপর "আপলোড ফ্রম কম্পিউটার" অপশন থেকে যুক্ত করা উচিত।
ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স এর ব্যবহার
অনেকে কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে কপিরাইট যুক্ত ছবি কন্টেন্টের ভিতরে ব্যবহার করে যা কখনোই করা উচিত না এতে কপিরাইট এর ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমাদের যদি কোন ছবির প্রয়োজন হয় এবং সেটি আমাদের কাছে না থাকে এবং আমরা সেটিকে বানাতেও ব্যর্থ হই তাহলে গুগলে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারি।
কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে গুগল সার্চ করার পরে ইমেজ সেকশনের ভিতরে গিয়ে এর ভিতরে কোন একটি ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেটি ডাউনলোডের সময় অবশ্যই ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স সিলেক্ট করে ডাউনলোড করতে হবে। তাহলে আমরা কপিরাইট ফ্রি ইমেজ গুলো পেয়েেে যাব এবং নির্দ্বিধায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারব।
যার ফলে আমাদের কোন কপিরাইটের ঝামেলা থাকবে না এবং কোন "কপিরাইট ক্লেইম" ও আসবে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url